#মেয়েরা সবচেয়ে বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়ে কখন জানেন?
যখন ছেলেপক্ষ মেয়েকে দেখতে আসে।
ছেলে পক্ষ আসার আগেই বাড়ির ভাবি , মা , খালা রা বলে দেয়
তোকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিবি শুধু যা যা করতে বলবে সুন্দর ভাবে করবি। কোন ভুল করবি না। এমন ছেলে পাওয়া যায়না সচরাচর।
ছেলে এবং ছেলের পরিবারের চৌদ্দগুষ্টির পছন্দ না হলে কিন্তু বিয়ে হবে না।
মেয়ে পক্ষের পরিবারের অবস্থা যদি ভালো থাকে আর যদি মেয়ে একটু সুন্দর হয় তো একটু প্লাসপয়েন্ট আর যদি শ্যামবর্নের হয় , পরিবারের অবস্থা ভালো না থাকে তো মেয়ের বাবার আর মেয়ের উপর দিয়ে যে কী যায় তা বলার বাহিরে।
শ্যম বর্নের হলে সারা জীবন শুনতে হয়
"কেন যে তোমার সাথে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলাম , চাইলে আরও ভালো মেয়ে , সুন্দর মেয়ে আনতে পারতাম।
ছেলে পক্ষ হাজারো উদ্ভট প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তোলে মেয়েকে।
ছেলে পক্ষের যদি পাঁচ জন আসে তো একে একে পাঁচ জনই একই প্রশ্ন করার আগ পর্যন্ত শান্তি হয় না।
কী নাম , বাবার নাম , মায়ের নাম , দাদার নাম , পরদাদার নাম সব গুষ্টির নাম জানতে চায়।
নাগরিক সাংবাদিক মিজান আল মাখতুম |
মা তুমি কী রান্না করতে পারো?
নাচতে পারো ?
গাইতে পারো ? একটু হেটে দেখাও তো।
চুল কীভাবে বাধ।
ছেলে তো সারাদিন বাইরে থাকবে সবার সাথে কী মিলে থাকতে পারবে?
কিন্তু মেয়েকে একটা প্রশ্নও করতে দেয় না।
মেয়ের কী ছেলেকে পছন্দ হয়েছে তা জানতে চায় না। ছেলে কী নিজের কাপড় নিজে ধুতে পারে কী না তা জানতে দেয় না।
ছেলে কী লিখতে পারে ?
তার কী বদঅভ্যাস আছে ?
কতজনের সাথে প্রেম করেছে তা জানতে দেয় না। মোটকথা ছেলের কোনকিছু সম্পর্কেও জানতে দেয় না।
মেয়ে পরিবারের হাজার সমস্যা থাকলেও ছেলে পক্ষের সর্বোচ্চ আপ্পায়ন করে। তবুও বের হবার সময় বলে "তরকারিতে লবন আর একটু হলে আরও ভালো লাগতো"
মানে হাজারো ভালো কিছু করলেও একটু খুত ধরবেই।
কেন ধরবে জানেন মেয়ে পক্ষের কাছে নিজেকে একটু সুপিরিয়র প্রমান করার জন্য।
কিন্তু নিজেদের হাজারো ভুল থাকলেও তা প্রকাশ করতে দিবে না।
যদি মেয়েকে পছন্দ হয়েই যায় তবে দেনাপাওনার পর্বে আসে।
তখন বলে
"আসবাবপত্র , ভরি দশেক স্বর্ন , মোটরবাইক এসব দিতেই হবে। মেয়ে তো আপনারই এসব দিলে মেয়েই সুখী থাকবে তার কোন সমস্যা হবে না। আর এসব তো আপনার মেয়েরই থাকবে আমাদের তো হবে না। "
"আর বিয়ের দিন ৪০০-৫০০ লোক খাওয়াতে হবে কিন্তু তারা তো প্রতিদিন আসবে না একদিনই আসবে। যত ভালো আপ্যায়ন করবেন তত প্রশংসা করবে আপনারই। আমাদের তো এখানে কিছুই নেই। "
"তবে আপনারা বৌভাতে কিন্তু ২০ জনের বেশি যাবেন না। কারন ঐদিকেও তো অনেক লোক থাকবে তাই না? সব দিকই তো দেখতে হবে।"
এসব দিতে পারলে মেয়ের জীবন সুখী আর না দিতে পারলে বিয়ের পর মেয়ের জীবন জাহান্নাম হয়ে যায়।
মোটকথা নিজের ষোল আনা মেয়ের বাবার একআনা তবুও পুরো এক আনাও না।
মোটকথা একটি মেয়েকে বিয়ে দিতে একটি বাবাকে যে কী পরিমান কষ্ট করতে হয় তা বলার বাইরে।
আর মেয়ে যে কতটা লজ্জিত হয় সমাজে তা আজ নাই বলি।
বর্তমানে যৌতুক কাগজে কলমে নেই তবে যৌতুক অন্যদিকে ঠিকই আদায় করে নেয়।
আর মেয়েটিকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসার পর থেকে আজীবন সব জায়গায় বিব্রত হতে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন